Prev | Up | Next

দ্বিতীয় খণ্ড - অনুরাগে কালীদর্শন

১৩

হেথা রানী রাসমণি অতি ক্ষুণ্ণ মন।
প্রভুর কারণে চিন্তা করে অনুক্ষণ॥
বুঝিল একে তো প্রভু পাগলের প্রায়।
তাহে পীড়া শক্ত মুখে শোণিত বেরোয়॥
তদুপরি সহোদর গেলেন ছাড়িয়া।
সংগোপনে কন কথা মথুরে ডাকিয়া॥
ছোট ভট্চাযের শক্ত ব্যারাম নিশ্চিত।
বিজ্ঞ চিকিৎসক আনি করহ বিহিত॥
দুই হৃদে মমতা বাড়িল বিলক্ষণ।
ভক্ত-ভগবানে খেলা দেখহ কেমন॥
কি ভাব হইল হৃদে খাইয়া চাপড়।
এ হেন রানীর পায় লক্ষ লক্ষ গড়॥
শ্রীগঙ্গাপ্রসাদ কবিরাজ অতি খ্যাত।
চিকিৎসা-কারণে তাঁয় করিলা নিযুক্ত॥
যথাসাধ্য পীড়ার নির্ণয় তেঁহ করি।
মাখিতে দিলেন তেল খেতে দিল বড়ি॥
তেল-বড়ি-ব্যবহারে বহুদিন গেল।
প্রতিকার সে পীড়ার কিসেও না হ'ল॥
যত দেখে তত বাড়ে পীড়া দিনে দিনে।
এত বড় কবিরাজ সচিন্তিত-মনে॥
একদিন প্রাতে প্রভু গেলা তাঁর ঠাঁই।
চিকিৎসা-আলয়ে উপস্থিত তাঁর ভাই॥
করিতেন সেই ভাই যোগের আরাধন।
প্রভু-দরশনে মনে কৈল নিরূপণ॥
হবে কোন যোগিবর এই মহামতি।
প্রত্যক্ষ শ্রীঅঙ্গে দেখি লক্ষণ তেমতি॥
পীড়া বলে তথাপিহ মূর্তি মুগ্ধকারী।
বিশেষিয়া জিজ্ঞাসিল সবিনয় করি॥
প্রভুর শ্রীমুখে শুনি সকল বারতা।
চিকিৎসক সহোদরে কহিলেন কথা॥
এ পীড়ার শান্তিদানে নিদান না পারে।
আরোগ্য প্রয়াসমাত্র অন্ধজনে করে॥
যোগেশ-দুর্লভ পীড়া পীড়া ইহা নয়।
সমুদিত অঙ্গে পীড়া বহু ভাগ্যে হয়॥
তথাপিহ প্রতিকার কবিরাজে করে।
বাড়িতে লাগিল বেগ কিসেও না সারে॥

Prev | Up | Next


Go to top