দ্বিতীয় খণ্ড - মধুরভাবে সাধনা
৪
অন্তরে উদয় যেন হইল বাসনা।
সহে না তিলেক দেরি সাধিতে সাধনা॥
মনের তীব্রতা তাঁর এতই প্রবল।
সাধনানুরূপ দেহ সর্বাংশে বদল॥
পুংদেহে পুরুষোচিত বৃত্তি আর নাই।
ললনাসুলভভাবে ভাবিত গোসাঞি॥
চলন বলন চেষ্টা কটাক্ষ ইঙ্গিত।
অঙ্গ রঙ্গ হাসি আদি স্বভাব-চরিত॥
ঠমক ঠমক ঠিক ঠিক ললনার প্রায়।
স্ত্রী কি পুরুষ প্রভু চেনা নাহি যায়॥
বসন-ভূষণপক্ষে কিছু নাহি ত্রুটি।
শিরে পরচুলা কেশপাশ পরিপাটি॥
পরিধানে বারাণসী শাড়ী থাকে পরা।
কখন বা পেশোয়াজ জরির কিনারা॥
কাঁচলিতে আঁটা বুক ঢাকা ওড়নায়।
সাঁচ্চার ঝালটা বলি ঝুলে কিনারায়॥
অঙ্গভূষা এক সুট স্বর্ণ-অলঙ্কার।
চরণ-শোভন-হেতু নূপুর রূপার॥
ধনবান মহাভক্ত সঙ্গে শ্ৰীমথুর।
তখনি যোগায় যাহা লাগে শ্রীপ্রভুর॥
এইরূপে প্রভুদেব ললনার বেশে।
আচরিলা দাসী-সেবা রাধার উদ্দেশে॥
তুলিয়া কুসুমরাশি গাঁথি দিব্য হার।
সাজাতেন যুগ্ম-মূর্তি কৃষ্ণ-শ্রীরাধার॥
চামর ধরিয়া করে কখন ব্যজন।
কখন প্রার্থনা-সহ আত্মনিবেদন॥
বিষ্ণুর মন্দির-মধ্যে সদা সর্বক্ষণ।
শ্রীমদ্ভাগবত-পাঠ-শ্রবণ-মনন॥