Prev | Up | Next

দ্বিতীয় খণ্ড - মধুরভাবে সাধনা

১৩

সমকালে প্রচলিত কর্তাভজা মত।
ভগবানে যাইবার এও এক পথ॥
পথটি বড়ই নোংরা উপমা তাহার।
যেমন বাড়ির থাকে নানান দুয়ার॥
কোন দ্বার সদরেতে প্রবেশের তরে।
কোন দ্বারে যাওয়া যায় অন্দর-ভিতরে॥
মেথরের জন্য থাকে আলাহিদা পথ।
সেইমত অবিশুদ্ধ কর্তাভজা মত॥
প্রকৃতি লইয়া সঙ্গে সাধনার প্রথা।
দুর্বল জীবের পক্ষে মুস্কিলের কথা॥
বিশেষে এ কলিকালে মানুষের মন।
স্বভাবতঃ কামিনীকাঞ্চনে নিমগন।
মূর্তিমতী অবিদ্যা এতেক শক্তি তার।
নরলোকে বসায়েছে ভেড়ার বাজার॥
এক ছত্রে ধরাতল করিছে শাসন।
অধিকার করিয়া ধর্মের রত্নাসন॥
প্রজাগণ ল'য়ে মন প্রাণ বুদ্ধি স্মৃতি।
যুক্তকরে দেয় কর তায় দিবারাতি॥
বিশেষে কামিনীকায়া না যায় বাখানি।
প্রকৃত সাগরস্থিত চুম্বকের খনি॥
লৌহপাতে তলা মোড়া তরীরূপ নরে।
পাইলে অমনি তায় ডুবায় পাথারে॥
প্রভুদেব বলিতেন মায়ারূপা মেয়ে।
যাহা ছিল ঘরে দিল সমুদায় খেয়ে॥
পদে পদে উপদেশ দিলা ভগবান।
কামিনীকাঞ্চন যেথা রহ সাবধান॥
ঘুণ-রূপা কামিনী যদ্যপি গিয়া পশে।
জ্বারা জ্বারা করে কাঁচা নররূপ বাঁশে॥
হেন মেয়ে ল'য়ে যেথা সাধনা উপায়।
কোটির ভিতরে কটা লোকে রক্ষা পায়॥
প্রভু বলিতেন এই পথ নহে সোজা।
কামিনী হিজড়া হবে, নর হবে খোজা॥
তবে হয় কর্তাভজা, না নইলে নয়।
পদে পদে সাধকের পতনের ভয়॥

Prev | Up | Next


Go to top