Prev | Up | Next

কমলাকান্ত ভট্টাচার্য (সাধক)

২৩

রামপ্রসাদী সুর। তাল একতালা।

আর কিছু নাই শ্যামা তোমার, কেবল দুটী চরণ রাঙা।
শুনি তাও নিয়াছেন ত্রিপুরারি, অতেব হইলাম সাহসভাঙা॥
জ্ঞাতি বন্ধু সুত দারা, সুখের সময় সবাই তারা, কিন্তু বিপদকালে
কেউ কোথা নাই, ঘর বাড়ী ওড়গাঁয়ের ডাঙা!
নিজগুণে যদি রাখ, করুণানয়নে দ্যাখো, নইলে জপ করি যে
তোমায় পাওয়া, সেসব কথা ভুতের সাঙা॥
কমলাকান্তের কথা, মারে বলি মনের ব্যথা, আমার জপের মালা,
ঝুলি-কাঁথা, জপের ঘরে রইল ঠাঙা॥

পাঠান্তর / পাঠভেদ:

রাগিণী ভৈরবী তাল একতালা।

আর কিছু নাই শ্যামা মা তোর কেবল দুটি চরণ রাঙা
শুনি তাও নিয়েছেন ত্রিপুরারি, দেখে হলাম
সাহসভাঙা॥
জ্ঞাতি বন্ধু সুত দারা, সুখের সময় সবাই তারা,
বিপদকালে কেউ কোথা নাই,
ঘরবাড়ি ওড়গাঁয়ের ডাঙা1
নিজগুণে যদি রাখ করুণানয়নে,
দেখ নইলে জপ করে যে তোমায়,
পাওয়া সেসব কথা ভুতের সঙা॥
কমলাকান্তের কথা মাকে বলি মনের ব্যথা,
আমার জপের মালা ঝুলি কাঁথা, জপের ঘরে রইল টঙা॥


1. ওড়গাঁয়ের ডাঙা নামক একটী বৃহৎ প্রান্তর [ও] শ্মশানভূমি বর্ধমান জেলার অধীন আছে; তাহাতে লোকজন আদি নাই। দস্যুলোকের দস্যুতা করায় [উহা] একটি রঙ্গভূমি বটে; তথাতে অনেক লোক দস্যুহস্তে নিহত ও [তাহাদের] ধনসম্পত্তি অপহৃত হয়। কমলাকান্তের কোটাল হাটের ভদ্রাসন বাটীতে তাঁহার একটি জপের ঘর; তাহাতে তাঁহার প্রতিষ্ঠিত আদ্যামূর্তি ও ত্রিমুণ্ডি-আসন অদ্যাপি বর্তমান আছে। সে [স্থান] নিতান্ত দ্রষ্টব্য।

Prev | Up | Next


Go to top