কমলাকান্ত ভট্টাচার্য (সাধক)
৩৪
রাগিণী পরজ কালাংড়া। তাল জলদ্ তেতালা॥
এখনি আসিবে গো! গিরিরাজ, আনন্দে অভয়া লয়ে।
আজি জুড়াইব আঁখি, চল সখি দেখি গিয়ে॥
মেনকা রাণীর দাসী, প্রতি ঘরে ঘরে আসি, মনের তিমির নাশি,
মঙ্গল গিয়েছে কয়ে। তোমরা যতেক এয়ো, রাজার ভবনে যেয়ো,
বরণ বরিয়ে রাণী, লবে গো আপনার মেয়ে॥
নগরনিকটে শুনি, উঠিল মঙ্গলধ্বনি; ধাইল যত রমণী, সবে
উন্মত্তা হৈয়ে। সম্মুখে শঙ্করী-রথ, হেরিয়ে যুবতী যত; পাশরিল
মনোদুঃখ, বিধুমুখ নিরখিয়ে॥
হেনকালে শৈলরাণী, এলো যেন পাগলিনী; মুখে নাহি সরে বাণী,
রৈল ও চাঁদমুখ চেয়ে। কমলাকান্তের ভাষা, পূরিল মনের আশা;
বিরিঞ্চিবাঞ্ছিত নিধি, বিধি দিল মিলাইয়ে॥
পাঠান্তর / পাঠভেদ:
রাগিণী পরজ কালেঙড়া। - তাল কাওয়ালি।
এখনি আসিবে গো, গিরিরাজ,
আনন্দে অভয়া লয়ে।
আজি জুড়াইব আঁখি, চল সখী দেখি গিয়ে।
মেনকা রাণীর দাসী, প্রতি ঘরে ঘরে আসি,
মনের তিমির নাশি, মঙ্গল গিয়েছে কয়ে।
তোমরা যতেক এয়ো, রাজার ভবনে যেও,
বরণ করিবে রাণী, লয়ে গো আপনার মেয়ে।
হেনকালে শৈলরাণী, এলো যেন পাগলিনী,
মুখে নাহি সরে বাণী, রৈল ও চাঁদমুখ চেয়ে।
কমলাকান্তের ভাষা, পুরিল মনের আশা,
বিরিঞ্চিবাঞ্ছিত নিধি, বিধি দিল মিলাইয়ে॥