কমলাকান্ত ভট্টাচার্য (সাধক)
৩৯
রাগিণী মালসী॥ তাল তিওট
এল্যে গৌরি! ভবনে আমার।
তুমি ভুলে ছিলে, মা বল্যে বুঝি এতদিনে। চিরদিনে।
মায়ের পরাণ, কান্দে রাত্রিদিন, শয়নে স্বপনে হেরি গো! ওমুখ
তোমার॥
কত কামনা করিয়ে কাননে, আমি রতন পেয়েছি যতনে; সচন্দন-
ফুলে, নববিল্বদলে, পূজেছিলাম গঙ্গাধরে, গো! হৈয়ে নিরাহার॥
গিরিপুর-রমণী চারিপাশে, কত কহিছে হাস-পরিহাসে। তরু-
মূলে ঘর, স্বামী দিগম্বর, তা নহিলে আর কতদিন হইত তোমার॥
তুমি পুণ্যবতী গিরিরাণি! শুন কমলাকান্তের বাণী। জগত-
জননী, তোমার নন্দিনী, বিরিঞ্চিবাঞ্ছিত ধন গো! চরণ যাহার॥
পাঠান্তর / পাঠভেদ:
রাগিণী মালশ্রী - তাল তিওট।
এলো গৌরী ভবনে আমার। তুমি ভুলে ছিলে
বুঝি মা বলে এতদিনে। চিরদিনে। মায়ের
পরাণ কান্দে রাত্র দিন, শয়নে স্বপনে হেরি গো,
ও মুখ তোমার।
কত কামনা করিয়ে কাননে, আমি পেয়েছি যতনে,
চন্দন ফুলে, নব বিল্লদলে, পূজেছিলাম গঙ্গাধরে,
গো হইয়ে নিরাহার।
গিরিপুর-রমণী চারি পাশে, কত কহিছে হাস্য-
পরিহাসে, তরুমূলে ঘর স্বামী দিগম্বর তা নহিলে
আর কত দিন হইত তোমার।
তুমি পুণ্যবতী গিরিরাণী, শুন কমলাকান্তের বাণী,
জগতজননী তোমার নন্দিনী, বিরিঞ্চিবাঞ্ছিত ধন
গো, চরণ যাহার।