Prev | Up | Next

কমলাকান্ত ভট্টাচার্য (সাধক)

২০৫

রাগিণী টোড়ী। তাল জলদ্ তেতালা।

যাও গিরিবর হে! আন যেয়ে নন্দিনী, ভবনে আমার॥
গৌরী দিয়ে দিগম্বরে, কেমনে রোয়েছ ঘরে, কি কঠিন হৃদয়
তোমার, হে॥
জান ত জামাতার রীত, সদাই পাগলের মত, পরিধান বাঘাম্বর
শিরে জটাভার। আপনি শ্মশানে ফিরে, সঙ্গে লোয়ে যায় তাঁরে,
কত আছে কপালে উমার॥
শুনেছি নারদের ঠাঁই, গায়ে মাখে চিতাছাই; ভূষণ ভীষণ আর,
গলে ফণী-হার। এ কথা কহিব কায়, সুধা ত্যজি বিষ খায়, কহ
দেখি এ কোন বিচার॥
কমলাকান্তের বাণী, শুন শৈল-শিরোমণি; শিবের যেমন রীত,
বুঝিতে অপার। চরণে তুষিয়ে হর, যদি আনিবারে পার, এনে উমা
না পাঠাব আর॥

পাঠান্তর / পাঠভেদ:

রাগিণী টোড়ী - তাল জলদ্ তেতালা।

যাও গিরিবর হে, আন যেয়ে নন্দিনী ভবনে আমার
গৌরী দিয়ে দিগম্বরে,        কেমনে রয়েছ ঘরে,
কি কঠিন হৃদয় তোমার, হে, -
জান ত জামাতার রীত,        সদাই পাগলের মত,
পরিধান বাঘাম্বর, শিরে জটাভার॥
আপনি শ্মশানে ফিরে,        সঙ্গে লয়ে যায় তারে,
কত আছে কপালে উমার।
শুনেছি নারদের ঠাঁই,        গায়ে মাখে চিতাছাই,
ভূষণ ভীষণ আর গলে ফণী-হার॥
এ কথা কহিব কায়,        সুধা ত্যজি বিষ খায়,
কহ দেখি এ কোন বিচার॥
কমলাকান্তের বাণী,        শুন শৈল-শিরোমণি,
শিবের যেমন রীত, বুঝিতে আপার।
বচনে তুষিয়ে হর,        যদি আনিবারে পার,
এলে উমা, না পাঠান আর॥

পাঠান্তর / পাঠভেদ:

যাও গিরিবর হে, আন যেয়ে নন্দিনী ভবনে আমার।
গৌরী দিয়ে দিগম্বরে, কেমনে রোয়েছ ঘরে,
কি কঠিন হৃদয় তোমার হে॥
জান তো জামাতার রীত, সদাই পাগলের মত,
পরিধান বাঘাম্বর, শিরে জটাভার।
আপনি শ্মশানে ফিরে, সঙ্গে লোয়ে যায় তাঁরে,
কত আছে কপালে উমার॥
শুনেছি নারদের ঠাঁই, গায়ে মাখে চিতা-ছাই;
ভূষণ ভীষণ তার, গলে ফণি-হার।
এ কথা কহিব কায়, সুধা ত্যজি বিষ খায়,
কহ দেখি এ কোন্ বিচার॥
কমলাকান্তের বাণী, শুন শৈল-শিরোমণি,
শিবের যেমন রীত, বুঝিতে অপার।
চরণে তুষিয়ে হর, যদি আনিবারে পার,
এনে উমা না পাঠায়ো আর॥

পাঠান্তর / পাঠভেদ:

যাও গিরিবর হে, আন যেয়ে নন্দিনী ভবনে আমার।
গৌরী দিয়ে দিগম্বরে, কেমনে রোয়েছ ঘরে,
কি কঠিন হৃদয় তোমা রহে॥
জান তো জামাতার রীত, সদাই পাগলের মত,
পরিধান বাঘাম্বর, শিরে জটাভার।
আপনি শ্মশানে ফিরে, সঙ্গে লোয়ে যায় তাঁরে
কত আছে কপালে উমার॥
শুনেছি নারদের ঠাঁই, গায়ে মাখে চিতা-ছাই;
ভূষণ ভীষণ তার, গলে ফণি-হার।
এ কথা কহি কায়, সুধা ত্যজি বিষ খায়,
কহ দেখি এ কোন্ বিচার॥
কমলাকান্তের বাণী, শুন শৈল-শিরোমণি,
শিবের যেমন রীত, বুঝিতে অপার॥
চরণে তুষিয়ে হর, যদি আনিবারে পার,
এনে উমা না পাঠায়ো আর।

Prev | Up | Next


Go to top