Prev | Up | Next

গোবিন্দ চৌধুরী

ওঙ্কার মূরতি রে মন জান না কি উহারে?
ওই ত করেছে এই বিশ্ব-রচনা;
নৈলে হেন দৃশ্য আঁকিতে বল কে পারে!
দশভুজা দেখে মায়ের ভেবেছ রূপের শেষ,
অন্তরে দেখিলে আবার দেখিবে অনন্ত বেশ,
অনন্ত প্রেমলোলুপা কদাচিৎ চিৎস্বরূপা,
ক্বচিদাকাশ ক্বচিৎ প্রকাশ অনন্ত জগদাকারে॥
ধরে রে সহস্র বাহু সহস্র প্রহরণ,
সহস্র চরণে করে অজস্র বিচরণ,
সহস্র বদনে খায়, সহস্র নয়নে চায়,
সহস্র শ্রবণে শোনে কথা রে;
সহস্র শির না হ'লে, কেবা, ওরে অবোধ প্রাণ,
এতই গরবে করে সহস্র ধারায় স্নান!
সহস্র ভাবে বিভোরা, সহজ জ্ঞানের অগোচরা,
ওই ত অহরহঃ বাস করে তোমার সহস্রারে॥
অজ্ঞানে ভুলাতে রে মন পাতে এমন ইন্দ্রজাল,
কভু কালী-রূপে তারা করে ধরে করবাল,
কখন বা সীতা হয়, মূলে কিন্তু কিছু নয়,
ব্রহ্মাদি দেবতা কিছুই বুঝিতে নারে।
আজ যেমন গোবিন্দের কাছে দুর্গা-রূপে এসেছে,
কাল দেখবে রাধা-রূপে শ্যামের বামে বসেছে!
তাই বলি, এই কায়া কিছু নয় শুধু মায়া,
ধরলে পরে জ্ঞানের আলো - লুকায় আবার ওঙ্কারে॥

Prev | Up | Next


Go to top