নন্দকুমার রায় (দেওয়ান)
১
রাগিণী ভৈরবী। তাল ঠেকা।
কবে সমাধি হব শ্যামা চরণে।
অহং-তত্ত্ব দূরে যাবে সংসার-বাসনা-সনে॥
উপেক্ষিয়া মহোতত্ত্ব, ত্যজি চতুর্বিংশত্ত্ব, সর্ব-
তত্ত্বাতীত তত্ত্ব, দেখি আপনে আপনে।
জ্ঞানতত্ত্ব ক্রিয়াতত্ত্বে, পরমাত্মা আত্মতত্ত্বে,
তত্ত্ব হবে পরতত্ত্বে, কুণ্ডলিনী জাগরণে।
শীতল হইবে প্রাণ, আপনে পাইব প্রাণ,
সমান উদান ধ্যান, ঐক্য হবে সংযোগ মনে।
কেবল প্রপঞ্চ পঞ্চ, ভূত পঞ্চময় তঞ্চ, পঞ্চে
পঞ্চেন্দ্রিয় পঞ্চ, বঞ্চনা করি কেমনে।
মূলাধারে ধরাসনে, ষড়দলে লয়ে জীবনে,
মণিপুরে হুতাশনে, মিলাইবে সমীরণে।
কহে শ্রীনন্দকুমার, ক্ষেমাঙ্গে হেরি নিস্তার, পার
হবে ব্রহ্ম দ্বার, শিব শক্তি-আরাধনে।1
পাঠান্তর / পাঠভেদ:
কবে সমাধি হবে শ্যামা-চরণে।
অহং-তত্ত্ব দূরে যাবে সংসার-বাসনা-সনে।
উপেক্ষিয়ে মহত্তত্ত্ব, ত্যজি চতুর্বিংশ তত্ত্ব,
সর্বতত্ত্বাতীত তত্ত্ব, দেখি আপনে আপনে।
জ্ঞানতত্ত্ব ক্রিয়াতত্ত্বে, পরমাত্মা আত্ম-তত্ত্বে,
তত্ত্ব হবে পর-তত্ত্বে, কুণ্ডলিনী জাগরণে।
শীতল হবে প্রাণ, আপনে পাইব প্রাণ,
সমান উদান ব্যান ঐক্য হবে সংযমনে।
কেবল প্রপঞ্চ পঞ্চ, ভূত পঞ্চময় তঞ্চ।
পঞ্চে পঞ্চেন্দ্রিয় পঞ্চ, বঞ্চনা করি কেমনে।
করি শিবা শিবযোগ, বিনাশিবে ভবরোগ,
দূরে যাবে অন্য ক্ষোভ, ক্ষরিত সুধার সনে।
মূলাধারে বরাসনে, ষড়্দল ল'য়ে জীবনে,
মণিপুরে হুতাশনে, মিলাইবে সমীরণে।
কহে শ্রীনন্দকুমার, ক্ষমা দে হেরি নিস্তার,
পার হবে ব্রহ্মদ্বার, শক্তি-আরাধনে।2
পাঠান্তর / পাঠভেদ:
কবে সমাধি হবে শ্যামা চরণে।
অহং-তত্ত্ব দূরে যাবে সংসার-বাসনা-সনে।
উপেক্ষিয়ে মহত্তত্ত্ব, ত্যজি চতুর্বিংশ তত্ত্ব,
সর্বতত্ত্বাতীত তত্ত্ব, দেখি আপন আপনে
জ্ঞানতত্ত্ব ক্রিয়াতত্ত্বে, পরমাত্মা আত্ম-তত্ত্বে,
তত্ত্ব হবে পর-তত্ত্বে, কুণ্ডলিনী জাগরণে
শীতল হবে প্রাণ, আপনে পাইব প্রাণ,
সমান উদান ব্যান ঐক্য হবে সংযমনে
কেবল প্রপঞ্চ পঞ্চ ভূত পঞ্চময় তঞ্চ
পঞ্চে পঞ্চেন্দ্রিয় পঞ্চ, বঞ্চনা করি কেমনে
করি শিবা শিবযোগ, বিনাশিবে ভবরোগ,
দূরে যাবে অন্য ক্ষোভ, ক্ষরিত সুধার সনে।
মূলাধারে বরাসনে, ষড়দল ল'য়ে জীবনে,
মণিপুরে হুতাশনে, মিলাইবে সমীরণে।
কহে শ্রীনন্দকুমার, ক্ষমা দে হেরি নিস্তার,
পার হবে ব্রহ্মদ্বার, শক্তি-আরাধনে।
1. "শিব-শক্তি-আরাধনে" ইতি দ্বিপাঠ। - ২৫ অক্টোবর ২০২০, সঙ্কলক।↩
2. কোনও কোনও সঙ্গীত-পুস্তকে এই গানটি মহারাজ নন্দকুমারের রচনা বলিয়া প্রকাশিত হইয়াছে।↩