Prev | Up | Next

রামপ্রসাদ সেন (কবিরঞ্জন)

বিভাস - ঢিমা-তেতালা।

অকলঙ্ক শশী-মুখী, সুধাপানে সদা সুখী,
তনু তনু নিরখি, অতনু চমকে।
না ভাব বিরূপ ভূপ, যারে ভাব ব্রহ্মরূপ,
পদতলে শতরূপ, বামা রণে কে॥
শিশু-শশধর-ধরা, সুহাস মধুর ধারা,
প্রাণহরা তার ধরা আলো করিছে।
চিত্তে বিবেচনা কর, নিশাকর দিবাকর,
বৈশ্বানর নেত্রবর-কর ঝলকে॥
বামা অগ্রগণ্যা, বটে ধন্যা, কার কন্যা,
কিবা অন্বেষণে রণে এসেছে।
সঙ্গে কি বিকৃতিগুলা, নখ কুলা দন্ত মূলা,
আলো চুলা গায় ধূলা ভয় করে হে॥
কবি রামপ্রসাদ ভাষে, রক্ষা কর নিজ দাসে,
যে জন একান্ত ত্রাসে মা বলেছে।
তার অপরাধ ক্ষমা, যদি না করিবে শ্যামা,
তবে গো তোমায় উমা মা বলিবে কে॥

পাঠান্তর / পাঠভেদ:

বিভাস - ঢিমে-তেতালা

অকলঙ্ক শশিমুখী, সুধাপানে সদা সুখী,
তনু তনু নিরখি অতনু চমকে।
না ভাব বিরূপ ভূপ, যাঁরে ভাব ব্রহ্মরূপ,
পদতলে শবরূপ, বামা রণে কে॥
শিশু-শশধর-ধরা, সুহাস মধুরাধরা,
প্রাণ ধরা ভার, ধরা আলো করেছে।
চিত্তে বিবেচনা কর, নিশাকর দিবাকর,
বৈশ্বানর নেত্রবর কর ঝলকে॥
বামা অগ্রগণ্যা, বটে ধন্যা কার কন্যা,
কিবা অন্বেষণে রণে এসেছে।
সঙ্গে কি বিকৃতিগুলা, নখ কুলা দন্ত মূলা,
এলো চুলা গায় ধূলা ভয় করে হে॥
কবি রামপ্রসাদ ভাষে, রক্ষা কর নিজ দাসে,
যেজন একান্ত ত্রাসে, মা বলেছে।
তার অপরাধ ক্ষমা, যদি না করিবে শ্যামা,
তবে গো তোমায় উমা, মা বলিবে কে॥

পাঠান্তর / পাঠভেদ:

রাগিণী বিভাষ। তাল ঢিমে তেতালা।

অকলঙ্ক শশিমুখী,        সুধাপানে সদা সুখী,
তনু তনু নিরখি অতনু চমকে।
না ভাব বিরূপ ভূপ,        যারে ভাব ব্রহ্মরূপ,
পদতলে শবরূপ বামা রণে কে॥
শিশু শশধর ধরা, গুণধরা, সুহাস মধুরাধারা,
প্রাণধরা ভার, ধরা আলো করিয়াছে।
চিত্তে বিবেচনা কর,        নিশাকর দিবাকর,
বৈশ্বানর নেত্রবর, কর ঝলকে॥
বামা অগ্রগণ্যা,        বটে ধন্যা, কার কন্যা,
কিবা অন্বেষণে রণে বিবসনা।
সঙ্গে কি বিকৃতিগুলা,        নখ কুলা দন্ত মূলা,
আলো চুলা গায় ধুলা ভয় করে হে॥
কবি রামপ্রসাদ দাসে হাসে, ভাষে রক্ষা কর নিজ দাসে
যে জন একান্ত ত্রাসে মা বলেছে॥
তার অপরাধ ক্ষমা,        যদি না করিবে শ্যামা,
তবে গো তোমায় উমা মা বলিবে কে॥

Prev | Up | Next


Go to top