রামপ্রসাদ সেন (কবিরঞ্জন)
৩৬
প্রসাদী সুর - একতালা।
ইথে কি আর আপদ্ আছে।
এই যে তারার জমী আমার দেহ আছে॥
যাতে দেবের দেব সুকৃষাণ হয়ে, মহামন্ত্রে বীজ বুনেছে॥
ধৈর্য-খুঁটা ধর্ম-বেড়া, এ দেহের চৌদিক্ ঘেরেছে।
এখন কাল-চোরে কি কর্তে পারে,
মহাকাল রক্ষক রয়েছে॥
দেখে শুনে ছয়টা বলদ, ঘর হোতে বাহির হয়েছে।
কালীনাম-অস্ত্রের তীক্ষ্ণ ধারে, পাপ-তৃণ সব কেটেছে॥
প্রেমভক্তি-সুবৃষ্টি তায়, অহর্নিশি বর্ষিতেছে।
কালীকল্পতরুবরে রে ভাই, চতুর্বর্গ-ফল ধরেছে॥
পাঠান্তর / পাঠভেদ:
প্রসাদী - একতালা
ইথে কি আর আপদ আছে।
এই যে তারার জমী আমার দেহমাঝে॥
যাতে দেবের দেব সুকৃষাণ হয়ে, মহামন্ত্রে বীজ বুনেছে॥
ধৈর্যখুঁটা ধর্মবেড়া, এ দেহে চৌদিক ঘিরেছে।
এখন কাল-চোরে কি করতে পারে, মহাকাল রক্ষক হয়েছে॥
দেখে শুনে ছয়টা বলদ, ঘর হ'তে বাহির হয়েছে।
কালীনাম-অস্ত্রের তীক্ষ্ণধারে, পাপতৃণ সব কেটেছে॥
প্রেমভক্তি-সুবৃষ্টি তায়, অহর্নিশি বর্ষিতেছে।
প্রসাদ বলে কালীবৃক্ষে, চতুর্বর্গ-ফল ধরেছে॥
পাঠান্তর / পাঠভেদ:
তারার জমী আমার দেহ ইথে কি আর আপদ আছে
ও যে দেবের দেব সুকৃষাণ হোয়ে মহামন্ত্রে বীজ
বুনেছে॥
ধৈর্য-খোঁটা ধর্ম-বেড়া এ দেহের চৌদিকে ঘেরেছে।
এখন্ কাল-চোরে কি কোর্তে পারে মহাকাল রক্ষক
রয়েছে॥
দেখে শুনে ছটা বলদ ঘর হতে বার হোয়েছে।
কালীনাম-অস্ত্রের তীক্ষ্ণধারে পাপ-তৃণ সব কেটেছে
প্রেমভক্তি-সুবৃষ্টি তায় অহর্নিশি বর্ষিতেছে।
কালীকল্পতরুবরে রে ভাই চতুর্বর্গ-ফল ধরেছে॥