রামপ্রসাদ সেন (কবিরঞ্জন)
১৮৫
প্রসাদী সুর - একতালা।
মর্লেম ভূতের বেগার খেটে।
আমার কিছু সম্বল নাইক গেঁটে॥
নিজে হই সরকারী মুটে, মিছে মরি বেগার খেটে।
আমি দিনমজুরি নিত্য করি, পঞ্চভূতে খায় গো বেঁটে॥
পঞ্চভূত ছয়টা রিপু, দশেন্দ্রিয় মহা লেঠে।
তারা কারো কথা কেউ শুনে না,
দিন তো আমার খেল ঘেটে॥
যেমন অন্ধজনে হারা দণ্ড পুন পেলে ধরে এঁটে।
আমি তেম্নি মত ধর্তে চাই মা,
কর্মদোষে যায় গো ছুটে॥
প্রসাদ বলে ব্রহ্মময়ী কর্মডুরি দে না কেটে।
প্রাণ যাবার বেলা এই করো মা,
ব্রহ্মরন্ধ্র যায় যেন ফেটে॥
পাঠান্তর / পাঠভেদ:
ম'লেম ভূতের বেগার খেটে,
আমার কিছু সম্বল নাইকো গেঁটে।
নিজে হই সরকারী মুটে, মিছে মরি বেগার খেটে।
আমি দিন-মজুরী নিত্য করি, পঞ্চভূতে খায় গো বেঁটে॥
পঞ্চ ভূত, ছয়টা রিপু, দশেন্দ্রিয় মহা লেঠে,
তারা কারো কথা কেউ শুনে না, দিন তো আমার গেল ঘেঁটে॥
যেমন অন্ধজনে হারা-দণ্ড পুনঃ পেলে ধরে এঁটে।
আমি তেম্নি মত ধরতে চাই মা, কর্ম-দোষে যায় গো ছুটে॥
প্রসাদ বলে, ব্রহ্মময়ি, কর্মডুরি দে না কেটে।
প্রাণ যাবার বেলা এই করো মা, ব্রহ্মরন্ধ্র যায় যেন ফেটে1॥
পাঠান্তর / পাঠভেদ:
ম'লেম ভূতের বেগার খেটে।
আমার কিছু সম্বল নাইকো গেঁটে।
নিজে হই সরকারী মুটে, মিছে মরি বেগার খেটে॥
আমি দিন-মজুরি নিত্য করি, পঞ্চভূতে খায় গো বেঁটে॥
পঞ্চ ভূত, ছয়টা রিপু, দশেন্দ্রিয় মহা লেঠে॥
তারা কারো কথা কেউ শুনে না দিন তো আমার গেল ঘেঁটে॥
যেমন অন্ধজনে হারা-দণ্ড পুনঃ পেলে ধরে এঁটে।
আমি তেম্নি মত ধরতে চাই মা, কর্মদোষে যায় গো ছুটে॥
প্রসাদ বলে, ব্রহ্মময়ি, কর্মডুরি দে না কেটে।
প্রাণ যাবার বেলা এই করো মা, ব্রহ্মরন্ধ্র যায় যেন ফেটে॥
1. যেন ব্রহ্মরন্ধ্র যায় গো ফেটে।↩