হরিনাথ মজুমদার (কাঙাল ফকিরচাঁদ / ফিকিরচাঁদ)
৩
মাগো, রজনী প্রভাত হয়েছে!
ও মা, ডাকিছে বিহঙ্গ, পবন-তরঙ্গ
গন্ধভরে মন্দ মন্দ যে বহিছে॥
ভানু যত তনু প্রকাশ করিছে, বিদায় দিতে তোমায়
বিজয়া বলিছে;
দেই কেমনে, ভেবে সেই ভাব মনে, সদা আঁখি ঝুরে,
আমার হৃদয় ফাটিছে॥
চৈতন্যরূপিণী তুমি ব্রহ্মময়ী,
তুমি নাই যথায় এমন স্থান আর কৈ?
তোমায় দিলে বিদায়, সকলই যে যায়;
(মাগো) তোমায় অবলম্বন করি' এই জগৎ রয়েছে।
লোকে বলে, নিশি প্রভাত হয়েছে,
আমি দেখি, সে ত যেমন তেমনি আছে;
নিশি প্রভাত হ'লে, মনের আঁধার যেত চলে;
(মাগো) তবে বিদায় দিত তোমায়, এমন কে আর আছে।
কাঙাল বলে মাগো, সহজ বুঝ আমার,
আবাহন বিসর্জন নাই তোমার;
তুমি নিত্য-নিরঞ্জিনী, ভব-ভয়ভঞ্জিনী (মাগো),
নিত্য হৃদি-পদ্মে জাগো, পূজি হৃদি-মাঝে॥
পাঠান্তর / পাঠভেদ:
মাগো, রজনী প্রভাত হয়েছে।
ও মা, ডাকিছে বিহঙ্গ, পবন-তরঙ্গ
গন্ধভরে মন্দ মন্দ যে বহিছে॥
ভানু যত তনু প্রকাশ করিছে, বিদায় দিতে তোমায় বিজয়া বলিছে;
দেখ কেমনে, ভেবে সেই মনে, সদা আঁখি ঝুরে,
আমার হৃদয় ফাটিছে॥
চৈতন্যরূপিণী তুমি ব্রহ্মময়ী
তুমি নাই যথায় এমন স্থান আর কৈ?
তোমায় দিয়ে বিদায়, সকলই যে যায়;
(মাগো) তোমায় অবলম্বন করি' এই জগৎ রয়েছে।
লোকে বলে, নিশি প্রভাত হয়েছে,
আমি দেখি, সে ত যেমন তেমনি আছে;
নিশি প্রভাত হ'লে, মনের আঁধার যেত চলে;
(মাগো) তবে বিদায় দি তোমায়, এমন কে আর আছে।
কাঙাল বলে মাগো, সহজ বুঝ আমার,
আবাহন বিসর্জন নাই তোমার;
তুমি নিত্য-নিরঞ্জনী, ভব-ভয়ভঞ্জিনী (মাগো),
নিত্য হৃদি-পদ্মে জাগো, পূজি হৃদি-মাঝে॥