প্রথম খণ্ড - অতিথির বেশধারণ ও ঐশ্বর্য-প্রদর্শন
৩
আরদিন মুড়িভরা টুঁকি করি হাতে।
শিশুসঙ্গে খেলিয়া বেড়ান মাঠপথে॥
নাহি কোন অন্তরাল চারিধার খোলা।
নবীন নবীন মেঘ শূন্যে করে খেলা॥
বুঝি না কি ভাব তাঁর হৈল মনে মনে।
বিভোর হৈল অঙ্গ চেয়ে মেঘপানে॥
বাহ্যজ্ঞান নাহি আর অনিমেষ আঁখি।
বেঁকে হাত উপুড় হইয়া গেল টুঁকি॥
ভূতলে পড়িল মুড়ি যত ছিল তায়।
শিশু গদা'য়ের লীলা না আসে কথায়॥
বলিবার নয় কথা বলিতে কি আছে।
মহাভক্ত বেদব্যাস কোথা ভেসে গেছে॥
আমি হীনবুদ্ধি মতি তুচ্ছ অতিশয়।
কামিনী-কাঞ্চনাসক্ত সমল-হৃদয়॥
শকতি কোথায় লীলা গাইব কেমনে।
বুঝিয়াছে মন কিন্তু নাহি বুঝে প্রাণে॥
মম সম ক্ষিপ্ত কোথা প্রাণে যার আশ।
বেলায় বালুকা লয়ে দেউলপ্রয়াস॥
মিঠে লোভে আঁটি গিলে রটে জনশ্রুতি।
ছাড়িতে না পারি মিষ্ট রামকৃষ্ণ-পুঁথি॥
শ্রীপ্রভুর লীলা-কথা বলে সাধ্য কার।
যোগেশ বুঝিতে নারে মুই কিবা ছার॥
দয়া কর দীনবন্ধু অগতির গতি।
বড় সাধ লিখিবারে রামকৃষ্ণ-পুঁথি॥