Prev | Up | Next

প্রথম খণ্ড - পাঠশালে অধ্যয়ন

বাল্যলীলা শ্রীপ্রভুর পূর্ণ মহিমায়।
গাও মন স্মরি গুরু হৃদে যা যুয়ায়॥
বড়ই সুমিষ্ট কথা অমিয়পূরিত।
বাল্যলীলা শুনে হয় মূর্খ সুপণ্ডিত॥
একদিন চাটুয্যে মহাশয় বসি ভাবে।
গদা'য়ের হাতে খড়ি এবে দিতে হবে॥
ক্রমশঃ হ'তেছে বড় শুধু বুলে খেলে।
সঙ্গে ল'য়ে যত সব তেলী মালী ছেলে॥
মা বাপের গদাধর আদরের ধন।
তাহাতে আবার তায় কনিষ্ঠ নন্দন॥
স্বভাবতঃ শিশুগণে পাঠে দেখে বাঘ।
তাতে নাই গদা'য়ের কোন অনুরাগ॥
কহিলে পড়ার কথা মন হয় ভারি।
ভুলাইয়া বাপ-মায় হাতে দিলা খড়ি॥
যান শিশু গদাধর পাত্তাড়ি বগলে।
যেখানে অনেক ছেলে লিখে পাঠশালে॥
বিদ্যা-অধ্যয়নে বড় নাহি হয় মন।
দিবানিশি নানা রঙ্গ ল'য়ে সঙ্গিগণ॥
শিশুগণ ফুল্লমন সুখসীমা নাই।
ছুটি পেলে খেলে বুলে লইয়া গদাই॥
বিদ্যাভ্যাসে গদা'য়ের নাহি তত মন।
যেমতে আত্মীয়বর্গে করে আকিঞ্চন॥
শিক্ষাদাতা গুরুমহাশয় পাঠশালে।
গদা'য়ে দেখেন যেন আপনার ছেলে॥
কর্কশ প্রয়োগে পায় হৃদয়ে বেদনা।
করিতে না পারিতেন তাঁহার তাড়না॥
গদা'য়ের পাঠশালে যাওয়া-আসা সার।
লেখাপড়া বড় বেশী নাহি হয় তাঁর॥
বড়ই মধুর কথা শুন শুন মন।
বহু ছেলে পেয়ে খেলা বাড়িল দ্বিগুণ॥
পাঠশালে যত ছেলে সবে ভালবাসে।
ছুটি পেলে গদা'য়ের সঙ্গে ঘরে মিশে॥
আড়ালে গদাই ল'য়ে বালক সকল।
সুন্দর করেন গান যাত্রার নকল॥
অপরে সাজান নিজে সাজেন গদাই।
ঠিক অবিকল যাত্রা কোন ভেদ নাই॥
বাল্যাবধি শ্রুতিধর ছিলেন এমন।
বারেক শুনিলে কভু নহে বিস্মরণ॥
খোল-করতাল-বাদ্য-শিঙ্গার নিনাদ।
বদনে ফুটিত সব নাহি যায় বাদ॥
যাত্রার সং দাড়ি যথা যাহা প্রয়োজন।
গদাই হইতে হয় সব সরঞ্জাম॥
একাকী গদাই করে যত সমুদয়।
নেহারিলে হরবোলা মানে পরাজয়॥
পাঠশালে যত ছেলে সব গেল মেতে।
দিনে যায় পাঠশালা যাত্রা করে রাতে॥

Prev | Up | Next


Go to top