দ্বিতীয় খণ্ড - তান্ত্রিক-সাধনা
১
শুন মন শ্রীপ্রভুর ভজন-সাধনা।
এক মনে শুনে কিবা গায় যেই জনা॥
গেঁটে বাঁধে খাঁটি সোনা ভক্তি সমুজ্জ্বল।
রামকৃষ্ণ-কথা হেন শ্রবণমঙ্গল॥
তন্ত্রমতে করিবারে ভজন-সাধনা।
হইল এখন মনে প্রবল বাসনা॥
সে সময়ে একজনা আসে দ্বিজবর।
শহরে বসতি মাত্র পাড়াগাঁয়ে ঘর॥
তান্ত্রিক ব্রাহ্মণ তেঁহ ভক্তিমান অতি।
দেখিয়া তাঁহায় প্রভু করিলা যুকতি॥
লইব শক্তির মন্ত্র ব্রাহ্মণের পাশ।
গোপনে করিলা তারে মন্তব্য-প্রকাশ॥
মহাভাগ্যবান দ্বিজ ভাগ্যসীমা নাই।
গুরুরূপে লৈলা যাঁরে জগৎ-গোসাঁই॥
তুষ্টচিতে দিলা সায় তান্ত্রিক ব্রাহ্মণ।
দেখি পাঁজি শুভদিন হয় নির্ধারণ॥
কেমনে লইলা মন্ত্র শুন অতঃপরে।
দীক্ষাস্থান-নিরূপণ শ্যামার মন্দিরে॥
আচরিয়া সংযমন যথাশাস্ত্র-রীতি।
প্রবেশিলা শ্রীমন্দিরে দ্বিজের সংহতি॥
দীক্ষাগুরু যেন মন্ত্র দিলা কর্ণমূলে।
হুঙ্কারি বসিলা প্রভু হর-বক্ষঃস্থলে॥
শ্যামার শ্রীপদে লগ্ন যে শিব স্থাপন।
শ্যামা-সঙ্গে এক ঠাঁই কৈলা আরোহণ॥
দীক্ষাগুরু দরশন করি মহাত্রাসে।
বাপ বাপ ডাকিয়া পলায় ঊর্ধ্বশ্বাসে॥
লীলাময় লীলা তব বুঝে সাধ্য কার।
অচিন্ত্য অবোধ্য কার্য বিস্ময়-ব্যাপার॥