Prev | Up | Next

দ্বিতীয় খণ্ড - যোগ-সাধন

রামকৃষ্ণ-লীলাকথা শ্রবণমঙ্গল।
গাইলে প্রফুল্ল হয় হৃদয়কমল॥
মন-ভৃঙ্গ সুসৌরভে বসে গিয়া তায়।
কমল-আসন গুরুচরণ-সেবায়॥
একদিন প্রভুদেব বসি বটমূলে।
দেখিলা বসিয়া আছে পাখী দুটি ডালে॥
একটি সুস্থির অন্য সচঞ্চল-কায়।
হেলে দুলে নড়ে বুলে যেন ইচ্ছা যায়॥
চঞ্চল সুস্থির-পানে চায় ঘনে ঘন।
দেখিয়া সুস্থির করে বিস্তার বদন॥
চঞ্চল ঢুকিল তার বদন-বিবরে।
হেন কালে চঞ্চু বন্ধ করিল সুস্থিরে॥
দেখিয়া প্রভুর হৈল চমকিত মন।
এহেন ব্যাপার কিবা কিসের কারণ॥
আত্মা-পরমাত্মা-তত্ত্ব হৃদয়ে উদয়।
সচঞ্চল জীব-আত্মা অন্য কিছু নয়॥
সুখ-দুঃখ-হেতু মাত্র হেসে কেঁদে বুলে।
সাক্ষী সব পরমাত্মা দেখিছে নিশ্চলে॥
জীব-আত্মাগত ধর্ম হেন রূপ রয়।
সাধনা করিলে পরমাত্মে হয় লয়॥
যোগ করি কিবা মর্ম হইতে বিদিত।
অনুরাগী প্রভুদেব উৎকণ্ঠিত চিত॥
ব্রাহ্মণী-সাহায্যে হইয়াছে সমাপন।
তন্ত্রমতে যত কিছু সাধন-ভজন॥
এবে যারে বলে পরব্রহ্ম নিরাকার।
নির্গুণ নিষ্ক্রিয় জ্যোতি রূপাদির পার॥
আগোটা সৃষ্টির যেথা সত্তা হয় লয়।
সে তত্ত্ব হইতে জ্ঞাত করিলা নিশ্চয়॥
এখন শ্রীপ্রভুদেব মানুষ-আকার।
জৈবভাবে আচরণ আহার বিহার॥
সাধন-ভজনে হয় গুরু প্রয়োজন।
আপনি আসিয়া সঙ্গে হয় সংযোটন॥

Prev | Up | Next


Go to top