Prev | Up | Next

দ্বিতীয় খণ্ড - তীর্থ-পর্যটন

একদিন সন্ধ্যাকালে মথুর-বনিতা।
মানস যাইতে তীর্থে তুলিলেন কথা॥
তীর্থযাত্রা ধর্ম-কর্ম পুণ্য-প্রদায়িনী।
মথুর ভুলেছে পেয়ে প্রভু গুণমণি॥
প্রভুদেব বিনা অন্যে নাহি জানে আর।
সগোষ্ঠী একত্রে সেবে শ্রীচরণ তাঁর॥
প্রভু বিনা শ্রীমথুর কিছু নাহি চায়।
সে হেতু উত্তর কৈল আপন ভার্যায়॥
পুছহ বাবায় ইহা আমি নাহি জানি।
বাবায় ছাড়িয়া যেতে কাঁপে মোর প্রাণী॥
অনর্থক অর্থনষ্ট কষ্ট কত হবে।
বাবা যদি যান সঙ্গে যেতে পারি তবে॥
কাতর প্রভুরে কয় মথুর-গৃহিণী।
যাওয়া হয় তীর্থে যদি যাও বাবা তুমি॥
ভক্তবাঞ্ছাকল্পতরু প্রভু ভগবান।
ধরিলে ভকতে আর নাহিক এড়ান॥
ভালমন্দ-স্থানাস্থান-বিচারবিহীনে।
সম্পদ-বিপদ সখা রহে রেতে দিনে॥
কি করেন প্রভুদেব দিলেন সম্মতি।
মহা আম্বা জগদম্বা পুলকিত অতি॥
লীলাময় প্রভু তাঁর কর্ম বুঝা ভার।
মানুষ থাকুক দূরে অসাধ্য ব্রহ্মার॥
কেহ বা কতই করে অসাধ্য সাধন।
সহি শীতাতপ কত বিহীন-অশন॥
কটিতে কৌপীন মাত্র তরুতলে বাস।
সজল নয়নে ছাড়ে সুদীর্ঘ নিঃশ্বাস॥
আত্মসুখ-বিবর্জিত ক্ষুধা-তৃষ্ণাহারা।
জীর্ণ-শীর্ণ চর্মহীন হাড়ের চেহারা॥
তথাপি তিলেক তরে না পায় দর্শন।
কেহ সঙ্গে রঙ্গে করে জীবনযাপন॥
যথা তথা ইচ্ছামত সঙ্গে ল'য়ে যায়।
ভগবৎ-তত্ত্ব গুপ্ত ব্যক্ত মাত্র তাঁয়॥
তাঁর তত্ত্ব তিনি বিনা কে বুঝিতে পারে।
ধূমাগার মাথা তার যে যার বিচারে॥
তীর্থে যেতে আয়োজন করেন মথুর।
মনোমত ভৃত্য অর্থ প্রচুর প্রচুর॥
বস্তায় বস্তায় বাঁধা বিছানা বসন।
যথা আজ্ঞা আয়োজন করে ভৃত্যগণ॥

Prev | Up | Next


Go to top