দ্বিতীয় খণ্ড - তীর্থ-পর্যটন
৪
দক্ষিণশহরে এবে আই ঠাকুরানী।
অতিবৃদ্ধা শুভ্রকেশা প্রভুর জননী॥
চরণ-বন্দনা আর সম্মতিকারণে।
আসিলেন প্রভুদেব তাঁর সন্নিধানে॥
আইর সর্বস্ব রত্ন পুত্র গদাধর।
তীর্থে যেতে ছেড়ে দিতে না মানে অন্তর॥
হেথা প্রতিশ্রুত প্রভু মথুর-আবাসে।
তাহাদের সঙ্গে যাওয়া হবে তীর্থবাসে॥
না যাইলে বাক্যরক্ষা-পক্ষে হয় দোষ।
গেলে পরে জননীর মনে অসন্তোষ॥
উভয় রক্ষার হেতু করিলা উপায়।
তীর্থবাসে সঙ্গে যেতে কহিলেন মায়॥
পরিহরি গঙ্গাতীর তীর্থপর্যটনে।
যাইতে আইর ভাল লাগিল না মনে॥
অগত্যা দিলেন সায় পুত্র গদাধরে।
তীর্থপর্যটন-শেষে ফিরিতে সত্বরে॥
শ্রীপ্রভুর তীর্থে যাত্রা হয় শুভদিনে।
সঙ্গে যায় সেবাপর হৃদয় ভাগিনে॥
অপর ব্রাহ্মণ কতক দাসদাসীগণ।
বস্তা বস্তা সজ্জা শয্যা বিবিধ রকম॥
এর পূর্বে প্রয়াগ পর্যন্ত একবার।
গিয়াছিলা প্রভু-সঙ্গে মথুর কুমার॥
দ্বিতীয় এবার তাঁর তীর্থ-পর্যটন।
শুনিয়াছি যেইমত শুন বিবরণ॥
কল্যাণনিধান কথা মথুর-আখ্যান।
গাইলে শুনিলে করে দুঃখে পরিত্রাণ॥