কমলাকান্ত ভট্টাচার্য (সাধক)
৫২
রাগিণী ললিত যোগিয়া। তাল তিওট॥
ওহে হর গঙ্গাধর! কর অঙ্গীকার, যাই আমি জনকভবনে॥
কি ভাবিছ মনে মনে, ক্ষিতি-নখ-লেখনে, হয় নয় প্রকাশ বদনে॥
জনক আমার গিরিবর, আসি উপনীত, আমারে লইতে আর, তব
দরশনে। অনেক দিবস পর, যাইব জনকঘর, জননীরে দেখিব
নয়নে॥
দিবানিশি অবিরত, কান্দিছে জননী কত; হে! তৃষিত চাতকীর মত,
রাণী চেয়ে পথপানে। না দেখে মায়ের মুখ, কি কব মনের দুখ,
না কহিলে যাইব কেমনে॥
নাথ! পুর মন-আশ, না করহ উপহাস, বিদায় করহ হর! সরল-
বচনে, হে। কমলাকান্তেরে দেহ নাথ! অনুচর, বল্যে যাই আসিব
তিন দিনে, হে!
পাঠান্তর / পাঠভেদ:
রাগিণী ললিত। তাল তিওট।
ওহে হর গঙ্গাধর, কর অঙ্গীকার,
যাই আমি জনকভবনে।
কি ভাবিছ মনে মনে, ক্ষিতি-নখ-লিখনে,
হয় নয় প্রকাশ বদনে॥
জনক আমার গিরিবর, আসি উপনীত,
আমারে লইতে আর, তব দরশনে।
অনেক দিবস পর, যাইব জনকঘর,
জননী দেখিব নয়নে।
দিবানিশি অবিরত, কাঁদিছে জননী কত, হে
তৃষিত চাতকী মত, রাণী চেয়ে পথপানে।
না দেখে মায়ের মুখ, কি কব মনের দুঃখ,
না কহিলে যাইব কেমনে।
নাথ, পুর মনোআশ, না করহ উপহাস,
বিদায় কর হর, সরল বচনে। হে
কমলাকান্তের, হেন নাথ অনুচর,
বলে যাই আসিব তিন দিনে হে
পাঠান্তর / পাঠভেদ:
ওহে হর গঙ্গাধর, কর অঙ্গীকার, যাই আমি জনক-ভবনে।
কি ভাবিছ মনে মনে, ক্ষিতি-নখ-লেখনে,
হয় নয় প্রকাশ বদনে॥
জনক আমার গিরিবর আসি উপনীত, আমারে লইতে
আর তব দরশনে।
অনেক দিবস পর, যাইব জনক-ঘর, জননীরে দেখিব নয়নে॥
দিবানিশি অবিরত জননী কান্দিছে কত হে!
তৃষিত চাতকীর মত রাণী চেয়ে পথ-পানে।
না দেখে মায়ের মুখ, কি কব মনের দুখ,
না কইলে যাইব কেমনে॥
নাথ, পূর মন-আশ, না করহ উপহাস, বিদায় করহ হর,
সরলবচনে হে।
কমলাকান্তেরে দেহ নাথ অনুচর, বলে যাই
আসিব তিন দিনে হে॥
পাঠান্তর / পাঠভেদ:
ওহে হর গঙ্গাধর, কর অঙ্গীকার, যাই আমি জনক-ভবনে।
কি ভাবিছ মনে মনে, ক্ষিতি-নখ-লেখনে, হয় নয় প্রকাশ বদনে॥
জনক আমার গিরিবর আসি উপনীত, আমারে লইতে আর তব দরশনে।
অনেক দিবস পর, যাইব জনক-ঘর, জননীরে দেখিব নয়নে॥
দিবানিশি অবিরত জননী কান্দিছে কত হে!
তৃষিত চাতকীর মত রাণী চেয়ে পথ-পানে।
না দেখে মায়ের মুখ, কি করব মনের দুখ, না কইলে যাইব কেমনে॥
নাথ, পুর মন-আশা, না কর, উপহাস, বিদায় করহ হর, সরল বচনে হে।
কমলাকান্তের দেহ নাথ অনুচর, বলে যাই আসিব তিন দিনে হে॥