কমলাকান্ত ভট্টাচার্য (সাধক)
১০৪
রাগিণী ভৈরোঁ। তাল একতালা॥
জান না রে মন! পরম কারণ, কালী কেবল মেয়ে নয়।
মেঘের বরণ, করিয়ে ধারণ, কখন কখন পুরুষ হয়॥
হয়ে এলোকেশী, করে লোয়ে অসি, দনুজ-তনয়ে, করে সভয়।
কভু ব্রজপুরে আসি, বাজাইয়ে বাঁশী, ব্রজাঙ্গনার মন হরিয়ে লয়॥
ত্রিগুণ-ধারণ, করিয়ে কখন, করয়ে সৃজন-পালন-লয়।
কভু আপনার মায়ায় আপনি বাঁধা, যতনে এ ভব-যাতনা সয়॥
যে রূপে যে জনা, করয়ে ভাবনা; সে রূপে তার, মানস রয়।
কমলাকান্তের হৃদি-সরোবরে, কমল-মাঝারে করে উদয়॥
পাঠান্তর / পাঠভেদ:
জান না রে মন, পরম কারণ, কালী কেবল মেয়ে নয়।
মেঘের বরণ করিয়ে ধারণ, কখন কখন পুরুষ হয়॥
হয়ে এলোকেশী, করে লোয়ে অসি, দনুজ-তনয়ে করে সভয়।
কভু ব্রজপুরে আসি, বাজাইয়ে বাঁশী
ব্রজাঙ্গনার মন হরিয়ে লয়॥
ত্রিগুণ ধারণ করিয়ে কখন করয়ে সৃজন-পালন-লয়।
কভু আপনার মায়ায় আপনি বাঁধা, যতনে এ ভব-যাতনা সয়॥
যে রূপে যে জনা করয়ে ভাবনা, সে রূপে তার মানস রয়।
কমলাকান্তের হৃদি-সরোবরে কমল-মাঝারে করে উদয়॥1
1. ১২৯২ সালে প্রকাশিত 'কমলাকান্ত পদাবলী' পুস্তক হইতে ইহা সংগৃহীত হইয়াছে, কিন্তু অন্যত্র এই গানের এইরূপ পাঠ দেখিতে পাওয়া যায় -
জান না রে মন, পরম কারণ, শ্যামা শুধু মেয়ে নয়।
সে যে মেঘের বরণ করিয়া ধারণ,
কখন কখন পুরুষ হয়॥
কভু বাঁধে ধড়া, কভু বাঁধে চূড়া,
ময়ূরপুচ্ছ শোভিত তায়।
কখন পার্বতী, কখন শ্রীমতী,
কখন রামের জানকী হয়।
হয়ে এলোকেশী, করে লয়ে অসি,
দানবচয়ে করে সভয়॥
কভু ব্রজপুরে আসি, বাজাইয়ে বাঁশী,
ব্রজবাসীর মন হরিয়ে লয়।
যে রূপ যে জন, করয়ে ভজন,
সেই রূপ তার মানসে রয়।
কমলাকান্তের হৃদি-সরোবরে,
কমল-মাঝে কমল হয় উদয়॥↩