রামপ্রসাদ সেন (কবিরঞ্জন)
১৪৫
প্রসাদী সুর - একতালা।
বল মা আমি দাঁড়াই কোথা।
আমার কেহ নাই শঙ্করী হেথা॥
নমস্তৎকর্মভ্যো ব'লে, চলে যাব যথা তথা।
আমি সাধুসঙ্গে নানারঙ্গে দূর করিব মনের ব্যথা
তুমি গো পাষাণের সুতা,
আমার যেম্নি পিতা তেম্নি মাতা।
রামপ্রসাদ বলে, হৃদিস্থলে, গুরুতত্ত্ব রাখ গাঁথা॥
পাঠান্তর / পাঠভেদ:
প্রসাদী সুর - একতালা॥
বল মা আমি দাঁড়াই কোথা।
আমার কেহ নাই শঙ্করী হেথা॥
মার সোহাগে বাপের আদর, এ দৃষ্টান্ত যথা তথা।
যে বাপ বিমাতাকে শিরে ধরে,
এমন বাপের ভরসা বৃথা॥
তুমি না করিলে কৃপা যাব কি বিমাতা যথা?
যদি বিমাতা আমায় করেন কোলে,
দেখা নাই আর হেথা সেথা॥
প্রসাদ বলে এই কথা, বেদাগমে আছে গাঁথা।
ও মা যে জন তোমার নাম করে,
তার হাড়-মালা আর ঝুলি-কাঁথা॥
পাঠান্তর / পাঠভেদ:
প্রসাদী - একতালা
বল মা তারা দাঁড়াই কোথা।
আমার কেহ নাই শঙ্করী হেথা॥
মা'র সোহাগে বাপের আদর, এ দৃষ্টান্ত যথা তথা।
যে বাপ বিমাতারে শিরে ধরে, এমন বাপের ভরসা বৃথা॥
তুমি না করিলে কৃপা, যাব কি বিমাতা যথা।
যদি বিমাতা আমায় করেন কোলে, দূরে যাবে মনের ব্যথা॥
প্রসাদ বলে এই কথা, বেদাগমে আছে গাঁথা।
ওমা যেজন তোমার নাম করে মা, তার কপালে ঝুলি কাঁথা॥
পাঠান্তর / পাঠভেদ:
রাগিণী জঙলা। তাল একতালা।
বলমা আমি দাঁড়াই কোথা,
আমার কেউ নাই শঙ্করী হেথা।
মা-সোহাগে বাপের আদর, এ দৃষ্টান্ত যথা তথা।
যে বাপ বিমাতারে শিরে ধরে,
এমন বাপের ভরসা বৃথা।
তুমি না করিলে দয়া, যাব মা বিমাতা যথা,
যখন বিমাতা আমায় কোলে লবে,
দেখা নাই আর হেথা সেথা॥
প্রসাদ বলে এই কথা বেদাগমে আছে গাঁথা,
ওমা যেজন তোমার নাম করে,
তার হাড়ের মালা ঝুলি কাঁথা1॥
পাঠান্তর / পাঠভেদ:
বল্ মা আমি দাঁড়াই কোথা,
আমার কেহ নাই শঙ্করী হেথা।
মার সোহাগে বাপের আদর, এ দৃষ্টান্ত যথা-তথা।
যে বাপ বিমাতাকে শিরে ধরে,
এমন বাপের ভরসা বৃথা॥
তুমি না করিলে কৃপা, যাব কি বিমাতা যথা?
যদি বিমাতা আমায় করেন কোলে,
দূরে যাবে মনের ব্যথা॥
প্রসাদ বলে এই কথা, বেদাগমে আছে গাঁথা -
ও মা যে-জন তোমার নাম করে,
তার কপালে ঝুলি-কাঁথা॥
1. হাড়ের মালা ঝুলি কাঁথা মহাদেবের ভূষণ অর্থাৎ সে ব্যক্তি শিব হয়।↩