রামপ্রসাদ সেন (কবিরঞ্জন)
১৮৩
প্রসাদী সুর - একতালা।
মন হারালি কাজের গোড়া।
তুমি দিবানিশি ভাব বসি,
কোথায় পাব টাকার তোড়া।
চাকি কেবল ফাঁকি মাত্র, শ্যামা মা মোর হেমের ঘড়া॥
তুই কাঁচমূলে কাঞ্চন বিকালি
ছি ছি মন তোর কপাল পোড়া॥
কর্ম-সূত্রে যা আছে মন, কেবা পাবে তার বাড়া।
মিছে এ দেশ সে দেশ ক'রে বেড়াও,
বিধির লিপি কপাল-যোড়া॥
কাল করিছে হৃদয়ে বাস, বাড়ছে যেন শালের কোঁড়া।
ওরে সেই কালের কর বিনাশ, ন্যাস ধররে মন্ত্র সোঁঢ়া॥
প্রসাদ বলে ভাবছ কি মন পাঁচ শোয়ারের তুমি ঘোড়া।
সেই পাঁচের আছে পাঁচাপাঁচি,
তোমায় কর্বে তোলাপাড়া॥
পাঠান্তর / পাঠভেদ:
প্রসাদী - একতালা
মন হারালে কাজের গোড়া।
তুমি দিবানিশি ভাব বসি, কোথায় পাবে টাকার তোড়া॥
চাকি কেবল ফাঁকিমাত্র, শ্যামা মা মোর হেমের ঘড়া।
তুই কাচমূল্যে কাঞ্চন বিকালি, ছি ছি মন
তোর কপাল পোড়া॥
কর্ম-সূত্রে যা আছে মন, কেবা পাবে তার বাড়া।
মিছে এদেশ সেদেশ ক'রে বেড়াও, বিধির লিপি
কপালজোড়া॥
কাল করিছে হৃদয়ে বাস, বাড়ছে যেন শালের কোঁড়া।
ওরে সেই কালের কর বিনাশ, ন্যাস ধররে মন্ত্র সোঢ়া॥
প্রসাদ বলে ভাবছ কি মন পাঁচসোয়ারের তুমি ঘোড়া।
সেই পাঁচের আছে পাঁচাপাঁচি, তোমায় করবে তোলাপাড়া
পাঠান্তর / পাঠভেদ:
রাগিণী জঙলা তাল একতালা।
মন হারালি কাজের গোড়া।
দিবা নিশি ভাব বসি, কোথায় পাব টাকার তোড়া॥
চাকি কেবল ফাকী যেমন, শ্যামা মা মোর হেমের তোড়া।
তুই কাঁচ মূলে কাঞ্চন বিকালি
ছিছি মন তোর কপাল পোড়া
কাল করেছে হৃদে বাস বাড়ছে যেন সালের কোঁড়া
সেই কালের করো বিনাশ ন্যাশ-ধরের মন্ত্র সোঢ়া॥
প্রসাদ বলে মনরে আমার পাঁচ সোয়ারের তুরকী ঘোড়া
সেই পাঁচের আছে
পাঁচাপাঁচি তোমায় করবে তুলা ফোঁড়া॥
পাঠান্তর / পাঠভেদ:
মন, হারালে কাজের গোড়া।
দিবানিশি ভাবছো বসি, কোথায় পাবে টাকার তোড়া॥
চাকি কেবল ফাঁকিমাত্র, শ্যামা মা মোর হেমের ঘড়া।
তুই কাচ-মূল্যে কাঞ্চন বিকালি, ছি ছি মন, তোর কপাল-পোড়া॥
কর্ম-সূত্রে যা আছে মন, কেবা পাবে তার বাড়া।
মিছে এ-দেশ সে-দেশ ঘুরে বেড়াও, বিধির লিপি কপাল-যোড়া॥
কাল করিছে হৃদে বাস, বাড়ছে যেন শালের কোঁড়া।
ওরে, সেই কালের কর বিনাশ, ন্যাস ধরবে মন্ত্র ষোঢ়া।
প্রসাদ বলে, মন রে তুমি, পাঁচ সওয়ারের তুর্কী ঘোড়া।1
সেই পাঁচের আছে পাঁচাপাঁচি, তোমায় করবে তোলাপাড়া॥
1. প্রসাদ বলে, ভাবছ কি মন, পাঁচ সওয়ারের তুমি ঘোড়া।↩