Prev | Up | Next

প্রথম খণ্ড - রঘুবীরের মালাগ্রহণ

আজি সাজাইতে ফুলে ব্রাহ্মণের আশ।
আয়োজন ফুলহার অন্তরে উল্লাস॥
সুন্দর কুসুম-মালা গাঁথা অনুরাগে।
ভকতি-চন্দন তায় দলে দলে লেগে॥
সেই মালা গদা'য়ের পরিতে বাসনা।
কেমনে পরেন মালা করেন ভাবনা॥
অদ্ভুত, কথায় কিছু বলিবার নাই।
শুনহ কেমনে মালা পরিল গদাই॥
চক্রীর বিষম চক্র কে বুঝিতে পারে।
ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশের বুদ্ধিবল হারে॥
পূজায় বসিলা পিতা দেখেন চাহিয়া।
পূজোপকরণ যত সম্মুখে লইয়া॥
ঠাকুরে করায়ে স্নান সোহাগে ব্রাহ্মণ।
আঁখি মুদি রঘুবীরে করেন স্মরণ॥
স্মরণ উদ্দেশ্যমাত্র ব্রাহ্মণের ছিল।
স্মরণ গভীর ধ্যানে চক্রে গত হ'ল॥
সুযোগ পাইয়া গদাধর হেনকালে।
যতনের গাঁথা মালা পরিলেন গলে॥
চন্দনে চর্চিত কৈলা অঙ্গ আপনার।
তথাপি না ধ্যানভঙ্গ হইল পিতার॥
রঙ্গ করি জনকেরে ডাক দিয়া কন।
দেখ না গো রঘুবীর সেজেছে কেমন॥
আমি সেই রঘুবীর দেখনাগো চেয়ে।
কেমন সেজেছি মালা-চন্দন পরিয়ে॥

Prev | Up | Next


Go to top