Prev | Up | Next

প্রথম খণ্ড - বিশালাক্ষীর আবেশ

কামারপুকুর হ'তে নহে অতি দূর।
সামান্য প্রান্তর অন্তে পাড়াগাঁ আনুড়॥
তথায় আছয়ে বিশালাক্ষী ঠাকুরানী।
একদিন একত্রিতা অনেক রমণী॥
সঙ্গে শিশু গদাধর যান দরশনে।
দেবী-আবির্ভাব গায় মাঠ-মধ্যস্থানে॥
অঙ্গ জড়বৎ বাহ্যজ্ঞান নাই আর।
আধমরা রমণীরা হেরিয়া ব্যাপার॥
হুলুস্থুল কান্নারব অন্তর-প্রান্তরে।
কহে কেন ল'য়ে আইলাম গদাধরে॥
কেনরে গদাই হেন হলি কি লাগিয়া।
কি বলিব চন্দ্রমণি-মায়ে ঘরে গিয়া॥
তেঁ সবার মধ্যে যেবা বুঝে শিশুবরে।
দুই-এক সঙ্গে নারী পাছু ছিল প'ড়ে॥
ভক্তিমতী সেই নারী লাহার নন্দিনী।
উতরিল ত্বরা করি যথায় সঙ্গিনী॥
করে মহা কোলাহল ঘেরি গদাধরে।
বুঝিল বিশেষ মহাতত্ত্ব, তাঁয় হেরে॥
শান্ত করিবারে যত ব্যাকুলা সঙ্গিনী।
কহিতে লাগিল তেঁহ সুযোগ্য কাহিনী॥
যেই বিশালাক্ষী যাইতেছি দেখিবারে।
সেই দেবী এসেছেন শিশুর ভিতরে॥
বিশালাক্ষী নাম তবে লয় নারীগণ।
প্রাণসম গদা'য়ের মঙ্গলকারণ॥
কর্ণমূলে দেবীনাম পশে বার বার।
সহজ অবস্থা শিশু, ভাব নাহি আর॥
দ্বিতীয় উপমা কথা অপূর্ব ভারতী।
একমনে শুন মন রামকৃষ্ণ-পুঁথি॥
বড়ই মধুর শ্রীপ্রভুর লীলা-গান।
শ্রবণে পবিত্র চিত মঙ্গল আখ্যান॥
সাধন-ভজন কিংবা পুণ্যবল বলে।
যে মহান হরিভক্তি কদাচিৎ মিলে॥
তাও অনায়াসে লাভ করে জীবগণে।
এক রামকৃষ্ণ-কথা কীর্তনশ্রবণে॥

Prev | Up | Next


Go to top