Prev | Up | Next

প্রথম খণ্ড - কালীপূজা ও রমণীর বেশধারণ

জটিলা-কুটিলা-ভাবে ভরা যেই জন।
মুরলীর গানে গণে কুলিশ-নিস্বন॥
বলাবলি করে দূরে সন্দেহ অন্তর।
যুবতীর দলে কিবা করে গদাধর॥
গৃহস্বামী সীতানাথ রুক্মিণীর পিতা।
গদা'য়ে যে বুঝে ইষ্ট পরমদেবতা॥
ভক্তিমান সুবিশ্বাসী তাঁয় গিয়া বলে।
কি করেন গদাধর তাঁহার বাকুলে॥
গালে হাত সীতানাথ কয় হাসি হাসি।
জান না কি গদাধর অকলঙ্ক শশী॥
হেন তিনি যতক্ষণ থাকেন ভবনে।
করে চিত আলোকিত আনন্দ-কিরণে॥
বালক কেবল যেন বালক-আকার।
পবিত্র মূরতি নানা গুণের আধার॥
মত্ত হয়ে যে সময় গুণগাথা রটে।
তখনি অমনি আর পাঁচজন জুটে॥
সবে মিলে গুণগাথা করে আন্দোলন।
শ্রুতি-মিঠে গদা'য়ের বাল্য-বিবরণ॥
কেহ কয় মহাশয় আমাদের ঘর।
গত মাসে তিন দিন ছিলা গদাধর॥
অমিয়-বরষী কথা শুনিয়া শ্রবণে।
আছিলাম সুখে মত্ত নরনারীগণে॥
ব্যস্ত হয়ে অন্যে কহে মমালয়ে স্থিতি।
গত পক্ষে ছিলা দুই দিন দুই রাতি॥
আনন্দের পরিসীমা নহে বলিবার।
যথায় গদাই বসে আনন্দ-বাজার॥
অন্ধকার মোর ঘর ফিরে এলে পরে।
দিবারাতি কাঁদে প্রাণ গদা'য়ের তরে॥
তৃতীয় ততই ব্যস্ত কহিতে কাহিনী।
গদা'য়ে পাইয়ে কিবা ভুগেছেন তিনি॥
প্রিয়-দরশন গুণনিধি গদাধর।
হেরিলে হরয়ে তাপ জুড়ায় অন্তর॥
ধন-পুত্র-নাশ-শোক সন্তাপ ভীষণ।
গদাই-দর্শনে করে সব নিবারণ॥
দ্বেষিগণে কথা শুনে মহা লজ্জা পায়।
উক্ত কথা পরিহাস বলিয়া উড়ায়॥

Prev | Up | Next


Go to top