Prev | Up | Next

দ্বিতীয় খণ্ড - পুরী-প্রতিষ্ঠা

হেথা রানী রাসমণি পুরীর ভিতরে।
ঠাকুরের ভোগ-রাগ বহু আড়ম্বরে॥
আরম্ভ করিলা মনে হেন করি সাধ।
যত লোক আসে পাবে ঠাকুর-প্রসাদ॥
রাধাশ্যাম কালীমার ভোগ আলাহিদা।
প্রসাদ বৈষ্ণবে শাক্তে না করিবে দ্বিধা॥
কিন্তু রানী কৈবর্তজা ইহার কারণ।
উচ্চ জাতি নাহি করে প্রসাদ গ্রহণ॥
বন্দেজ মতন ভোগ ঠাকুরেতে দিয়া।
প্রসাদ লইয়া দেয় গঙ্গায় ফেলিয়া॥
বিষাদে রানীর হৃদি দেখে ফেটে যায়।
ঠাকুর-প্রসাদ উচ্চ জেতে নাহি খায়॥
হায় রানী রাসমণি না চিনে এখন।
পুরীতে প্রসাদ পান প্রভু নারায়ণ॥
হর্তা কর্তা পিতামাতা পরম ঈশ্বর।
ব্রহ্মা বিষ্ণু মহেশের সবার উপর॥
ইষ্টদেবী তোমার স্বপনে যাঁরে দেখা।
প্রভুর পুরুষাধারে লীলাক্ষেত্রে ঢাকা॥
লইয়া ভাণ্ডারা যাঁর জন্যে আগুয়ান।
যাঁর জন্যে কৈলে হেন পুরী বিনির্মাণ॥
আপনি হাজির ঠিক প্রতিষ্ঠার দিনে।
দেখ না নেহারি দুঃখ অকারণ কেনে॥
ধন্য ধন্য পঞ্চভূত যাই বলিহারি।
ঘরে পুরে দাও জোরে নাক ফুঁড়ে ডুরি॥
কি ঘুমন্ত বদ্ধ জীব কিবা ভক্তিমান।
ব্রহ্মা বিষ্ণু মহেশেরও নাহিক এড়ান॥
ভগবান কর কৃপা এ দাসের প্রতি।
চিনি বা না চিনি যেন পদে রহে মতি॥

Prev | Up | Next


Go to top