Prev | Up | Next

দ্বিতীয় খণ্ড - অনুরাগে কালীদর্শন

লীলা-কথা শ্রীপ্রভুর শ্রবণ-মঙ্গল।
শ্রীমথুরে বুঝাবারে করিলা কৌশল॥
গঙ্গাগর্ভে একদিন শুন শুন মন।
মথুর বসিয়া করে মুখপ্রক্ষালন॥
সমাসীন প্রভুদেব ছিলা হেনকালে।
কথঞ্চিৎ দূরে তার বকুলের তলে॥
বালকস্বভাব প্রভু সরলাতিশয়।
লোকে জানে যাহা বলে করেন প্রত্যয়॥
মাথার বিকার কথা রটে সর্বজনে।
তাই চিন্তাকুল প্রভু বসিয়া নির্জনে॥
মথুরে দেখিয়া মনে হইল তাঁহার।
ধনবান শ্রীমথুর বড় জমিদার॥
অনেক সম্পত্তি ধন টাকাকড়ি ঘরে।
বলিলে যদ্যপি কোন সদুপায় করে॥
মনে মনে উঠে কথা কথায় না ফুটে।
হঠাৎ কেমন ভাব হৈল তাঁর ঘটে॥
নিকটে পতিত ঢিল তুলি একখানি।
মথুর মথুর বলি ছুঁড়িলা অমনি॥
ঢিল খেয়ে চম্বিত হইয়া পাছু চায়।
বকুলের তলে প্রভু দেখিবারে পায়॥
দুঃখিত অন্তর ভাব মলিন বদন।
মথুর বুঝিল ঠিক পাগল-লক্ষণ॥
বার বার নিরীক্ষণ করি পরমেশে।
যথায় শ্রীপ্রভু তাঁর সন্নিকটে আসে॥
দীনতার ভাব পরিপূর্ণ শ্রীবদন।
বলিলা মথুরে আমি দরিদ্র ব্রাহ্মণ॥
সবে কয় হইয়াছে মাথার বিকার।
যদি তুমি কর সদুপায় চিকিৎসার॥
কথায় কথায় ঈশ্বরীয় উত্থাপন।
একমনে শ্রীমথুর করেন শ্রবণ॥
শ্রীপ্রভুর মহাবাক্যে শক্তি এত ধরে।
অটল অচল ভেদ হয় তার জোরে॥
আঁতে আঁতে গাঁথা কথা মথুরের প্রাণে।
মন্ত্রমুগ্ধ সর্পসম দাঁড়াইয়া শুনে॥
অবাক হইয়া কয় প্রভু-পদতলে।
এমন আপুনি কিসে লোকে ক্ষেপা বলে॥
প্রাণ দিলে যদি ভাল হয় আপনার।
অবশ্য করিব আমি করিনু স্বীকার॥

Prev | Up | Next


Go to top