দ্বিতীয় খণ্ড - হলধারীর সঙ্গে রঙ্গ ও মথুরকে শিবকালী-রূপ-প্রদর্শন
২
অপর ঘটনা কিবা শুন দিয়া মন।
শরৎ-পূর্ণিমা-চাঁদ উজ্জ্বল কিরণ॥
গগনে উদয় হ'য়ে বিতরয়ে ভাতি।
ধরিয়াছে ধরামাতা মোহন-মূরতি॥
রাতি কিবা দিনমান বুঝা নাহি যায়।
দশদিক আলোময় কিরণমালায়॥
এহেন সময়ে পূর্ণজ্ঞানী প্রভুরায়।
অমা কি পূর্ণিমা আজি পুছিলা দাদায়॥
ঈষদ্ধাস্যে ব্যঙ্গভাবে হলধারী কয়।
ভুবনে এমন মূর্খ দ্বিতীয় না হয়॥
অমা কি পূর্ণিমা আজি তাও নাহি জানে।
ইহাকে আবার দেশে দেশে গুণে মানে॥
পূর্ণজ্ঞানে একাকার নাহি রকমারি।
আঁধার আলোক এক দিবা বিভাবরী॥
প্রকৃতির বিচিত্রতা সব লোপ পায়।
ভেদাভেদহীন তত্ত্ব আসে না মাথায়॥
পূর্ণজ্ঞানী হ'য়ে প্রভু হইলা পাগল।
জ্ঞানী গণ্য জ্ঞানহীন মানুষের দল॥
অধীত-শাস্ত্রাদি দাদা মান্য একজনা।
বিবেক-বৈরাগ্য-হীনে দিনমানে কানা॥
ধারণা ছিল না কিছু শাস্ত্রমর্মে তাঁর।
কাজেই শ্রীপ্রভু মূর্খ বিচারে দাদার॥
কৃপা কর মহামায়া চৈতন্যদায়িনী।
জন্ম জন্ম রব মূর্খ নাহি তাহে হানি॥
ভুলি না জননী যেন মায়াবিনাশন।
নিরুপমা রক্তোৎপল দুখানি চরণ॥