দ্বিতীয় খণ্ড - হলধারীর সঙ্গে রঙ্গ ও মথুরকে শিবকালী-রূপ-প্রদর্শন
৩
একদিন বাল্যভাবী প্রভু অকপটে।
উপনীত হলধারী-দাদার নিকটে॥
যে কালে আছিলা তেঁহ বিচারেতে মত্ত।
আধ্যাত্মিক জগতের সূক্ষ্মতর তত্ত্ব॥
শ্রীপ্রভু কহিলা তাঁয় জানিতে বারতা।
ভাবযোগে ঈশ্বরীয় দর্শনের কথা॥
তাহার উত্তরে দাদা হলধারী কয়।
ভাবে যাহা দেখিয়াছ ঠিক তাহা নয়॥
আমার এ নয় কথা শাস্ত্রের কথিত।
ভাবরাজ্যপুরী ছাড়া তিনি ভাবাতীত॥
সরল বিশ্বাসী প্রভু জন্মজাত গুণ।
দাদার কথায় চিত্তে উঠিল আগুন॥
বিষাদে কাতর নাদে কান্দিয়ে কান্দিয়ে।
করুণ বিলাপে কন মায়ে সম্বোধিয়ে॥
একি শুনি ওমা শ্যামা কি তুই করিলি।
দেখে মুখ্খু নিরক্ষর মোরে ফাঁকি দিলি॥
মর্মভেদী রোদনের কি কব কাহিনী।
নয়নের নীরধারে তিতিল ধরণী॥
হেনকালে কি হইল শুন অতঃপর।
নিবিড় কুয়াশাধূম নয়নগোচর॥
তাহার ভিতর থেকে উঠে আচম্বিত।
সুন্দর পুরুষ শ্মশ্রু আবক্ষলম্বিত।
প্রভু-প্রতি স্থিরদৃষ্টি রাখি কিছুক্ষণ।
"ভাবমুখে থাক্ তুই" কহি এ বচন॥
বারত্রয় ঐ কথা উপদেশ দিয়ে।
ধূয়ার মানুষ গেল ধূয়ায় মিলিয়ে॥
তবে না হইল শান্ত প্রভুর হৃদয়।
আর না দাদার বাক্যে করেন প্রত্যয়॥