Prev | Up | Next

দ্বিতীয় খণ্ড - হলধারীর সঙ্গে রঙ্গ ও মথুরকে শিবকালী-রূপ-প্রদর্শন

মথুরের সঙ্গে রঙ্গ শুন পরিচয়।
সে আবার অন্য রূপ এ রূপের নয়॥
একদিন পুরীমধ্যে হয় বিচরণ।
মথুরের সঙ্গে নানা কথোপকথন॥
জানি না কি ভাবে প্রভু কহিলা মথুরে।
মায়ের ঐশ্বর্যতত্ত্ব কে বুঝিতে পারে॥
মহৈশ্বর্যময়ী কালী অনন্ত-আধারা।
অপার ঐশ্বর্য তাঁর না হয় কিনারা॥
মায়ের সৃষ্টিতে দেখ ছোট বড় নাই।
বড়টিও যেন বড় ছোটটিও তাই॥
দেখ ঐ জবার গাছ সম্মুখে তোমার।
বলিহারি কারিগরি কত কি ইহার॥
ফুল পত্র কাণ্ড মূল বিচিত্র কেমন।
কি কৌশল প্রত্যেকের বিভিন্ন বরণ॥
শুধু মাত্র নহে ভিন্ন কেবল বরণে।
প্রত্যেকের প্রভেদ-গুণে প্রত্যেকের সনে॥
আরক্তবরণ জবা ফুটে গাছময়।
সব লাল একটিরও সাদা বর্ণ নয়॥
ইচ্ছা যদি হয় ইচ্ছাময়ী অম্বিকার।
দেখিবে লালের গাছে উদ্ভব সাদার॥
মথুর কহেন বাবা কথা অসম্ভব।
রক্তিম-জবার গাছে সাদার উদ্ভব॥
শ্রীপ্রভু উত্তরে কন এ নহে আশ্চর্য।
সৃষ্টীশ্বরী যিনি যাঁর সৃষ্টি মহৈশ্বর্য॥
যাহা ইচ্ছা তাই তিনি পারেন করিতে।
সৃষ্টিখানি হাতে তাঁর তিনিই সৃষ্টিতে॥
এখন দেশের রাজ্ঞী ভিক্টোরিয়া রানী।
আইন-বিধান কত করেছেন তিনি॥
চলিত আইন যাহা আছে বর্তমানে।
হইলে তাঁহার ইচ্ছা রদ পরদিনে॥
তার স্থানে আর অন্য করেন নূতন।
যখন যা হয় ইচ্ছা তখনি তেমন॥
এখানেও সেই ধারা আছে বিদ্যমান।
ইচ্ছাময়ী অম্বিকার ইচ্ছাতে বিধান॥
মথুর বলেন বাবা আশ্চর্য কাহিনী।
প্রকৃতির এক গতি চিরকাল জানি॥
বুঝিব তোমার বাক্যে সত্যতত্ত্ব আছে।
সাদা জবা ফুটে যদি রক্তিমের গাছে॥
চলিত প্রসঙ্গ আজি এইখানে ইতি।
শ্রীপ্রভুর লীলারঙ্গ অপূর্ব ভারতী॥

Prev | Up | Next


Go to top