Prev | Up | Next

দ্বিতীয় খণ্ড - হলধারীর সঙ্গে রঙ্গ ও মথুরকে শিবকালী-রূপ-প্রদর্শন

আরদিন প্রভুদেব সুগভীর ধ্যানে।
মথুর দেখেন চেয়ে রহি সংগোপনে॥
প্রশান্ত গম্ভীর মূর্তি অটল অচল।
বদনে উদয় জ্যোতিঃ পরম উজ্জ্বল॥
বদনমণ্ডল গোটা ঝলমল করে।
দিব্যময় ভাবোচ্ছ্বাসে হৃদয়মাঝারে॥
সতৃষ্ণ নয়নে দেখে পলকবিহীন।
প্রভুর শ্রীদেহমধ্যে করিয়া বিলীন॥
যেন মহাদেব-দেব যোগের আসনে।
ধ্যানে মগ্ন জগতের কল্যাণ-সাধনে॥
মনে মনে ভাবিতেছে ভক্ত শ্রীমথুর।
অমানবী যাবতীয় কাণ্ড শ্রীপ্রভুর॥
উচ্ছ্বাসে উতলা হৃদি আনন্দের ভরে।
চরণ ধরিয়া লুটে মনে মনে করে॥
কষ্টেতে ধৈরয ধরি সম্বরে উচ্ছ্বাস।
প্রভুর অধিক রঙ্গ দেখিবার আশ॥
শ্রীপ্রভুর নানাবিধ রঙ্গ রূপ হেরে।
শ্রীপদে বিশ্বাস-ভক্তি দিনে দিনে বাড়ে॥
মথুরের মত ব্যক্তি অতুল ভুবনে।
বাহ্যান্তর বিভূষিত বহু বহু গুণে॥
শৌর্য বীর্য সহিষ্ণুতা সৌন্দর্য অতুল।
মান্য গণ্য সুজনতা সম্পত্তি বিপুল॥
ন্যায়নিষ্ঠ মিষ্টবাক্ উদার সরল।
ইষ্টপদে ভক্তি-প্রীতি ভুবনে বিরল॥
একাধারে সমাবেশ নিরুপম গুণ।
লীলায় মথুর যেন দ্বিতীয় অর্জুন॥
লীলায় ভাণ্ডারি-বেশে নরদেহে আসা।
প্রভুরও তাঁহার প্রতি প্রীতি-ভালবাসা॥

Prev | Up | Next


Go to top