কমলাকান্ত ভট্টাচার্য (সাধক)
৪৪
রাগিণী কালাংড়া। তাল জলদ্ তেতালা।
ওগো উমা! আজু কি কারণে পোহাল যামিনী।
এত অনুচিত কেন, গো করে শূলপাণি॥
আমি উমার লাগিয়ে, অনেক কেলেশ পেয়ে, এ তনু সফল করি
মানি। হেরিয়ে ও চাঁদমুখ, পাশরিলাম সব দুঃখ, আজু কেন কাঁন্দিছে
পরাণি॥
আমি তোমারে পাইয়ে, সকল দুঃখ বিস্মরিয়ে, নাহি জানি দিবস
রজনী। আজু বিধি বিড়ম্বিল, মনের আশা না পূরিল, এখন আমি
কি করি না জানি॥
সতত আমার মনে, তম সম তোমা বিনে, জল বিনে যেন চাত-
কিনী। অতি নিদারুণ হর, পাগল সে দিগম্বর, কেনে দিলাম তাহারে
নন্দিনী॥
আমার মনের আগুন, দ্বিগুণ উথলে কেন, মা! বুঝি গিরি
পাঠাবে এখনি। কমলাকান্তের, নিষেধ না মানে প্রাণ, না ছাড়িব
চরণ দুখানি॥
পাঠান্তর / পাঠভেদ:
রাগিণী কালেঙড়া। তাল জলদতেতালা।
ওগো উমা আজু কি কারণে পোহাইল যামিনী
এত অনুচিত কেন গো করে শূলপাণি।
আমি উমার লাগিয়ে অনেক ক্লেশ পেয়ে এ
তনু সফল করি মানি।
হেরিয়ে ও চাঁদমুখ, পাশরিলাম সব দুঃখ,
আজু কেন কান্দিছে পরাণী।
আমি তোমারে পাইয়ে, সকল দুঃখ বিস্মরিয়ে,
নাহি জানি দিবস রজনী॥
আজু বিধি বিড়ম্বিল, মনের আশা না পুরিল,
এখন আমি কি করি না জানি।
সতত আমার মনে, ভয় সম তোমা বিনে,
জল বিনে যেন চাতকিনী।
অতি নিদারুণ হর, পাষাণ সে দিগম্বর,
কেন দিলাম তাহারে নন্দিনী।
আমার মনের আগুন দ্বিগুণ উথলে কেন মা
বুঝি গিরি পাঠাবে এখনি।
কমলাকান্তের নিষেধ না মানে প্রাণ না ছাড়িব
চরণ দুখানি॥