কমলাকান্ত ভট্টাচার্য (সাধক)
৪৭
রাগিণী ছায়ানট। তাল তিওট॥
ওগো হিমশৈল-গেহিনি, গো রাণি! শুন মঙ্গলবচন, এলো গিরি
লয়ে প্রাণ-উমারে॥
কি কর কি কর রাণি! শুন গো জয়জয় ধ্বনি, আজি কি আনন্দ
গিরিপুরে॥
দেখে এলাম রাজপথে, তোমার তনয়া দাঁড়ায়ে রথে, গো! শ্রমবিন্দু
মুখবরে। বারেক সে মুখ চেয়ে, অমনি আইলাম ধেয়ে, পুণ্যবতি!
লইতে তোমারে॥
জয়া! কি বলিলে আরবার বল, আমার গৌরী কি ভবনে এলো
গো! মরেছিলাম না দেখিয়ে তাঁরে। কহিতে কহিতে রাণী, ধাইল
যেন পাগলিনী, কেশপাশ-বাস না সম্বরে, গো!॥
দেখিয়ে সে চাঁদমুখ, রাণী পাশরিল সব দুঃখ, গো কোলে নিল
ধোরে দুটি করে। কমলাকান্তের বাণী, বিলম্ব না কর রাণি! বরণ
বরিয়ে লহ ঘরে।
পাঠান্তর / পাঠভেদ:
রাগিণী ছায়ানট। তাল তিওট।
ওগো হিমশৈল-গেহিণী, গো রাণী,
শুন মঙ্গলবচন, এলো গিরি লয়ে প্রাণ উমারে
কি কর কি কর রাণী, শুন গো জয়জয় ধ্বনি,
আজি কি আনন্দ গিরিপুরে।
দেখে এলেম রাজপথে, তোমার তনয়া
দাঁড়িয়ে রথে, গো,
শ্রমবিন্দু শোভে মুখবরে॥
বারেক সে মুখ চেয়ে, অমনি আইলাম ধেয়ে,
পুণ্যবতী লইতে তোমারে।
জয়া কি বলিলে আরবার বল,
আমার গৌরী কি ভবনে এলো গো,
মরেছিলাম না দেখিয়ে তাঁরে।
কহিতে কহিতে রাণী, ধেয়ে এলো যেন পাগলিনী,
কেশপাশ-বাস না সম্বরে গো,।
দেখিয়ে সে চাঁদমুখ, রাণী, পাশরিল সব দুঃখ,
গো, কোলে নিল ধরে দুটি করে।
কমলাকান্তের বাণী, বিলম্ব না কর রাণী,
বরণ করিয়ে লহ ঘরে॥