Prev | Up | Next

রামপ্রসাদ সেন (কবিরঞ্জন)

১৬৪

প্রসাদী সুর - একতালা।

মন কেন রে ভাবিস্ এত।
যেমন মাতৃহীন বালকের মত॥
ভবে এসে ভাবছো ব'সে, কালের ভয়ে হয়ে ভীত।
ওরে কালের কাল মহাকাল,
সে কাল মায়ের পদানত॥
ফণী হয়ে ভেকের ভয় এ যে বড় অদ্ভুত।
ওরে তুই করিস্ কি কালের ভয়, হয়ে ব্রহ্মময়ী-সুত॥
এ কি ভ্রান্ত নিতান্ত তুই, হলি রে পাগলের মত।
ও মন, মা আছেন যার ব্রহ্মময়ী,
কার ভয়ে সে হয় রে ভীত॥
মিছে কেন ভাব দুঃখে, দুর্গা বল অবিরত।
যেমন জাগরণে ভয়ং নাস্তি, হবে রে তোর তেম্নি মত॥
দ্বিজ রামপ্রসাদে বলে, মন কর রে মনের মত।
ও মন গুরুদত্ত তত্ত্ব কর, কি করিবে রবিসুত॥

পাঠান্তর / পাঠভেদ:

প্রসাদী - একতালা

মন কেনরে ভাবিস্ এত।
যেন মাতৃহীন বালকের মত॥
ভবে এসে ভাবছো ব'সে, কালের ভয়ে হয়ে ভীত।
ওরে কালেরো কাল যে মহাকাল, সে কাল মায়ের পদানত॥
ফণী হয়ে ভেকেরে ভয়, এ যে বড় অদ্ভুত।
ওরে তুই করিস কি কালেরে ভয়, হয়ে ব্রহ্মময়ীর সুত॥
একি ভ্রান্ত নিতান্ত তুই, হলিরে পাগলের মত।
অমন মা আছেন যার ব্রহ্মময়ী, কার ভয়ে সে হয় রে ভীত॥
মিছে কেন ভাব দুঃখে, দুর্গা বল অবিরত।
ও মন দুর্গানামে ভয় থাকে না, ঘুচে যায় ভাবনা যত॥
দ্বিজ রামপ্রসাদ বলে, মনের ভুলে ভেবে ভেবে হলে হত।
এখন গুরুদত্ত তত্ত্ব ধর কি করবে রবিসুত॥

পাঠান্তর / পাঠভেদ:

মন কেনরে ভাবিস এত।
যেমন মাতৃহীন বালকের মত॥
ভবে এসে ভাবছো বোসে কালের ভয়ে হোয়ে ভীত
ওরে, কালের কাল মহাকাল সে কাল মায়ের পদানত
ফণি হয়ে ভেকে ভয় এ যে বড় অদ্ভুত॥
ওরে, তুই করিস কি কালে ভয় হোয়ে ব্রহ্মময়ী-সুত।
মিছে কেন ভাব দুখে, দুর্গা দুর্গা বল মুখে॥
যেমন জাগরণে ভয়ং নাস্তি হবে তোমার তেমনি মত

পাঠান্তর / পাঠভেদ:

মন, কেন রে ভাবিস্ এত -
যেমন মাতৃহীন বালকের মত?
ভবে এসে ভাবছো ব'সে, কালের ভয়ে হয়ে ভীত।
ওরে কালের কাল মহাকাল, সে-কাল মায়ের পদানত॥
ফণী হ'য়ে ভেকের ভয় - এ যে বড় অদ্ভুত।
ওরে তুই করিস্ কি কালের ভয়, হ'য়ে ব্রহ্মময়ী-সুত॥
এ কি ভ্রান্ত নিতান্ত তুই, হ'লি রে পাগলের মত।
ও মন, মা আছেন যার ব্রহ্মময়ী, কার ভয়ে সে হয় রে ভীত।
মিছে কেন ভাব দুঃখে, দুর্গা বল অবিরত।
যেমন 'জাগরণে ভয়ং নাস্তি' - হবে রে তোর তেম্নি মত॥
দ্বিজ রামপ্রসাদ বলে, মন কর রে মনের মত।
ও মন, গুরু-দত্ত তত্ত্ব কর, কি করিবে রবি-সুত॥

Prev | Up | Next


Go to top